উত্তরাধিকারী স্বত্ব হতে চিরতরে বঞ্চিত হবার কারণ ৪টি যথা
- দাসত্ব
- এমন হত্যাকাণ্ড যার বিচারে সাজা প্রাপ্ত হয় ।
- ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়া (অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির এক ধর্মে,ওয়ারিশ অন্য ধর্মে)
- দেশ ভিন্ন হওয়া ।
জেল থেকে খালাস না পাওয়া পর্যন্ত ওয়ারিশ সূত্রে তার পাওয়া নির্ধারিত অংশ তার জন্য রেখে দিতে হবে । হত্যাকারীর অংশ : হত্যাকারী ব্যক্তি হত্যাকৃত ব্যক্তির সম্পদের উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত হবে।
হানাফী সুন্নী হতে নিরুদ্দেশ ব্যক্তির জন্য তার জন্মের পর থেকে ৯০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ।
তবে The Evidence Act, 1872 এর ১০৮ নং ধারা মতে, কাউকে ৭ বছর যাবৎ খুজে পাওয়া না গেলে এবং জীবিত বলে প্রমাণ পাওয়া না গেলে তাকে মৃত বলে গণ্য করা হবে । জারজ সন্তানের অংশ : জারজ সন্তান পিতার সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে না। তবে মাতা ও তার আত্মীয়গণের ওয়ারিশ হবে।
জ্যেষ্ঠ পুত্র পিতার পরিধেয় বস্ত্র, কোরান, তরবারী ও আংটির একক উত্তরাধিকারী হতে পারে। (বেঈলী ২য় ২৭৯)
সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নির্ণয়
সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নির্ণয়ের কারণ: সাধারণত সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয় দুটি কারণে । যার নিম্নরূপ: –
প্রথম কারণ : সন্তান চুরি হলে পরবর্তীতে সন্তানের সম্ভাব্য সন্ধানের পর উক্ত সন্তানের পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিয়ে জঠিল সমস্যার সৃষ্টি হয়।
দ্বিতীয় কারণ : অবৈধ সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে বা বৈধ দম্পতির জন্ম দেয়া সন্তানের ব্যাপারে পিতৃত্ব নির্ণয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে।
সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নির্ণয় পদ্ধতি:
বৈজ্ঞানি উপায়ে দুভাবে সন্তানের পিতৃত্ব মাতৃত্ব নির্ণয় করা যায় । যথা:-
১। রক্তের গ্রুপ: মাতা-পিতা ও সন্তান্তের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা মাধ্যমে ।
২। ডি.এ. এ টেস্ট: ডি.এন.এ পরীক্ষা (DNA Test) এর মাধ্যমে ।
১। রসায়নিক পরীক্ষা তথা রক্ত পরীক্ষা মাধ্যমে সন্তানের পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নির্ণয়:
রক্তের গ্রুপ:
মানব দেহে ৪ ধরনের রক্তের গ্রুপ বিদ্যমান। যথা:- A, B, AB, O। এই চার প্রকারের রক্তের কোন এক প্রকার রক্ত মানুষ তার শরীরে বহন করে। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে রক্তের লোহিত কণিকার অন্যতম ধর্ম আর.এইচ (Rh) পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। উল্লেখিত প্রতিটি রক্তের গ্রুপ গুলোকে (Rh) পদ্ধতিতে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে ।