জমির দলিল যদি হারিয়ে যায় কিংবা কোন দূর্ঘটনা বা আগুনে পুড়ে যায়, প্রাকৃতিক দূর্যোগে নষ্ট হয়ে যায় অথবা অন্য কারও হস্তগত হলেও-আপনি সহজে তার হুবুহু নকল কপি অর্থাৎ সার্টিফাই কপি তুলে নিতে পারেন।
যা করতে হবে-
যে কোনো ব্যক্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে গেলে অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে জিডি করতে হয়। জিডি করার পর পুলিশ অভিযোগকারীকে জিডির একটা কপি এবং কপির সাথে একটি নম্বর প্রদান করবেন। সেটিকে আপনার সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এরপর পুলিশ হারিয়ে যাওয়া কাগজ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন বা নকল বা নতুন কাগজপত্র বা দলিল প্রদান করার জন্য অনুমতি প্রদান করবেন।
ধরুণ, আপনার পিতা রহিম মিয়া পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত ১০ বিঘা জমি ভোগদখল করাকালে ৩ বছর পূর্বে মারা যান। আপনার পিতা রহিম মিয়ার মৃত্যুর পর এক পুত্র ও এক কন্যা ওয়ারিশ থাকেন। আপনার বাবার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ১০ বিঘা সম্পত্তির সি.এস খতিয়ান, আর.এস খতিয়ান এবং আপনার দাদা’র এর নামের দলিলগুলোর ফটোকপি থাকলেও মূল কাগজপত্র খুঁজে পান নাই। চিন্তার কোন কারণ নেই। সি.এস ও আর.এস খতিয়ানের জাবেদা নকল সংশ্লিষ্ট কালেক্টরেট অফিস অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় রেকর্ড রুম হতে আবেদন করে কপি তুলতে পারবেন।
এছাড়া আপনার দাদা’র এর নামীয় দলিল এর সার্টিফাই কপি সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিষ্টার অফিস হতে তুলতে পারবেন । আপনি দলিলের ফটোকপি দেখে দলিলের নম্বর অনুসারে সার্টিফাই কপি’র জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি মূল দলিল থাকে- তাহলে দেখবেন মূল দলিলের শেষ পৃষ্টার উল্টোদিকে “দলিলটি কত সালের, কত নম্বর বালাম বইয়ের, কত পৃষ্ঠা থেকে কত নম্বর পৃষ্ঠায় নকল করা হয়েছ, তা লিখে সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষর করতে হয়।
এভাবে খুব সহজে সহজেই রেজিস্ট্রি অফিসে থেকে দলিলের নকল উঠানো যায়। আর যদি কোন কাগজপত্রই নাই থাকে তাহলেও দলিলের কপি তোলা যায়। সেক্ষেত্রে দলিলে জমির দাতা/বিক্রেতা, গ্রহিতা/ক্রেতা বা অন্য কোন পক্ষের নাম দিয়ে অথবা জমির মৌজার নাম দিয়ে সার্চিং করে বের করা সম্ভব।